দেশের উত্তরের জেলা লালমনিরহাটে শীতের দাপট বাড়ছেই। প্রায় প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। শীতের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। বিশেষ করে সকাল এবং সন্ধ্যার পরই বইছে হিমেল হাওয়া। রাত বাড়ার সাথে, সাথে বাড়ছে শীতের তীব্রতা
উত্তরে হিমালয় কাছে হওয়ায় দেশের অন্য জেলার চেয়ে প্রতি বছরই লালমনিরহাটে শীতের প্রকোপ বেশি থাকে। গত বছরের চেয়ে এবার শীত এসেছে আগেভাগেই। এবার শীতের এমন দাপটে বিপাকে জেলার খেটে-খাওয়া মানুষেরা।
তীব্র শীতে লালমনিরহাটের ৫টি উপজেলার জনজীবন প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। দিন দিন তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দিনের তাপমাত্রা কিছুটা সহনীয় হলেও হ্রাস পাচ্ছে রাতের তাপমাত্রা। শীতল বাতাস বাড়িয়ে দিচ্ছে মানুষের ভোগান্তি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলায় দেখা গেছে শীতে মধ্যে বৃদ্ধা মানুষ চায়ের কাপে উষ্ণতার খোঁজে ভিড় করছে শহরের ও গ্রামের চায়ের দোকান গুলোতে। শীতে এককাপ চায়ের একটু উষ্ণতা নিতে পাড়ার চায়ের দোকানে এখন শীতের সকালে ও সন্ধ্যায় উপচে পড়া ভিড়।
লালমনিরহাটের সদর উপজেলাধীন কুলাঘাট,মোগলহাট ইউনিয়নের আলোকদীঘি,দক্ষিণ শিবেরকুঠি,চরকুলাঘাট,বনগ্রাম,মেঘারাম ও ভাটিবাড়ী সহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানী ও সাধারন মানুষের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার শীত খুবই বেশী। তাই এ অঞ্চলের খেটে-খাওয়া মানুষেরা সকাল-সন্ধ্যায় চায়ের কাপে মুখ না দিয়ে বাড়ি থেকে কাজে বের হয় না। বিশেষ করে কাজে যাওয়ার আগে সকলে ও কাজ থেকে ফেরার পরে সন্ধ্যায় জনসমাগম বেশী দেখতে পাওয়া যায়। শীতের কাঁপুনী নিয়ে জড়োসড়ো হাতে এককাপ চায়ে চুমুক দিয়ে স্বস্তি মেলে এ অঞ্চলের মানুষের।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।